December 23, 2024, 1:01 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
ভয়ানক গতিতে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আম্ফান। খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চলের মধ্য দিয়ে বয়ে যেতে পারে বুধবার সন্ধ্যা সাগাদ। এসময় এর গতি থাকার সম্ভাবনা ১৪০-১৬০ কিঃমি। যার অনিবার্য পরিণতি প্রায় ৫ থেকে ১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস। আবহাওয়া অধিদপ্তর মংলা ও পায়রা বন্দরে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জারি করেছে বুধবার ভোরে।
ঠিক এই মুহুর্তে সাইক্লোন কেন্দ্রের ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি যখন আঘাত করবে তখন অতি ভারী বৃষ্টি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উপকূলের জেলাগুলোর জেলা প্রশাসন ও উপজেলার প্রশাসন সুত্রে জানা যায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় উপকূলীয় তিন জেলা খুলনায় ৩৬১টি, বাগেরহাটে ৩৩৪টি ও সাতক্ষীরা জেলায় ৪৪৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, বুধবার সকাল থেকে আম্ফানের প্রভাব শুরু হয়েছে এ অঞ্চলে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়া চলছে। খুলনা সিভিল সার্জন অফিস ৯টি উপজেলায় ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানিয়েছেন, সুপার সাইক্লোন আম্ফানে জান মালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে খুলনায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে ইফতার ও সেহরির ব্যবস্থা ছিল। সাইক্লোন প্রিপার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি) এর দুই হাজার ৪৬০ জন এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার এক হাজার ১০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে।
Leave a Reply